গ্রামীণ ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ | Grameen Bank Job Circular 2024

গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিশ অফিসার ও শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক পদে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যে সকল প্রার্থীরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করছেন? তাদের জন্য সুখবর। যাদের বয়স সর্বোচ্চ 32 বছরের মধ্যে রয়েছে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি অথবা এইচএসসি পাস অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যোগ্যতা সম্পন্ন সকল নারী পুরুষ নীলনত্ব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটিতে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার শেষ সময় ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত ১২ ঘটিকা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

গ্রামীণ ব্যাংক, বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহৎ এবং জনপ্রিয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রতি বছর বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০২৪ সালে, প্রতিষ্ঠানটি নতুন কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, যা চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এতে কাজ করা মানে দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করা। তাই, যারা দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে চান, তাদের জন্য এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হতে পারে। এবারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে ব্যাংকটি দক্ষ ও যোগ্য কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছে।

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ | Grameen Bank Job Circular 2024

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ | Grameen Bank Job Circular 2024 [একনজরে]

গ্রামীণ ব্যাংক ২০২৪ সালের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য এক সুযোগের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত তথ্য নিম্নরূপ:

  • প্রতিষ্ঠানের নাম: গ্রামীণ ব্যাংক
  • নিয়োগ প্রকাশের তারিখ: ১৮ ও ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • চলমান নিয়োগ: মোট ০২টি পদ
  • পদের সংখ্যা: অসংখ্য কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে
  • বয়সসীমা: আবেদনকারীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে হতে হবে ৮ম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি অথবা স্নাতক পাশ
  • চাকরির ধরন: বেসরকারি চাকরি
  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: www.grameenbank.org
  • আবেদনের শুরুর তারিখ: আবেদন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে
  • আবেদনের শেষ তারিখ: ২৫ নভেম্বর এবং ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ (পদভেদে)
  • আবেদনের মাধ্যম: প্রার্থীকে অনলাইনে অথবা ডাকযোগে আবেদন করতে হবে
  • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ: বিডিজবস.কম এবং দৈনিক প্রথম আলো

এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এমন সকল প্রার্থীদের জন্য, যারা গ্রামীণ ব্যাংকে কাজ করার সুযোগ চান এবং চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করেন। আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে হবে।

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নোটিশ বোর্ড | Grameen Bank Job Circular Notice Board [বিস্তারিত দেখুন]

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ | Grameen Bank Job Circular 2024

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার শেষ সময় হচ্ছে ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত ১১ঃ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। অতএব নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আবেদন করার চেষ্টা করুন।

গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন

১। গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান কে?

বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের অধ্যাপক। তাকে তিন বছরের জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে পরিচালক এবং চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে, যা গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে।

২। গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি ?

গ্রামীণ ব্যাংক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা সংবিধিবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠিত। এটি বিশেষভাবে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানে মনোনিবেশ করে এবং বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করে, যা মাইক্রোক্রেডিট বা “গ্রামীণক্রেডিট” হিসেবে পরিচিত। ব্যাংকটি একটি পাবলিক অথরিটি হিসেবে একটি আইন দ্বারা পরিচালিত, যার উদ্দেশ্য সামাজিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা।

৩। গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস অফিসার নিয়োগ ২০২৪

আজকের আর্টিকেল এর উপরে বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত দেখুন।

৪। গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি ?

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়া বেশ সহজ, তবে কিছু নিয়ম এবং পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়। প্রথমে, আপনাকে নিকটস্থ গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় গিয়ে তাদের সদস্য হতে হবে। এরপর, ব্যাংক ম্যানেজার থেকে ঋণ আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পূর্ণ করতে হবে। ফরম পূর্ণ করার পর প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ সেটি ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

যদি সব তথ্য সঠিকভাবে দেওয়া হয় এবং ফরম যথাযথভাবে পূর্ণ করা হয়, তবে সাধারণত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনার ঋণ আবেদন অনুমোদিত হয়ে যাবে। তবে, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের জন্য বিভিন্ন খাতে আলাদা আলাদা শর্ত থাকে, যা আপনি ঋণ নেওয়ার আগে জেনে নেবেন।

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আপনি নিম্নলিখিত ধরনের ঋণ গ্রহণ করতে পারেন:

  • ক্ষুদ্র ঋণ: ছোট ব্যবসা বা পেশার জন্য।
  • শিক্ষা ঋণ: শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনা সংক্রান্ত খরচের জন্য।
  • কৃষি ঋণ: কৃষিকাজ বা কৃষি সেবা বৃদ্ধির জন্য।
  • হাউজিং ঋণ: বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের জন্য।
  • উদ্যোক্তা ঋণ: নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য।
  • পশুসম্পদ ঋণ: পশুপালন বা প্রাণীসম্পদের উন্নয়নের জন্য।

ঋণ নেওয়ার জন্য উপযুক্ত শর্ত পূরণ করে আবেদন করলে, ব্যাংক আপনাকে ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে এবং নির্ধারিত সময়ে ঋণের টাকা সংগ্রহের জন্য জানিয়ে দেবে।

৫। গ্রামীণ ব্যাংক শাখা কয়টি ?

বর্তমানে, গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটির ৪০টি জোন রয়েছে এবং মোট ২,৫৬৮টি শাখা পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ২,৫২৮টি শাখা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

গ্রামীণ ব্যাংক ২০২০ সাল পর্যন্ত করমুক্ত ছিল, তবে ২০২১ সালে তারা কর প্রদান শুরু করে। কর পরিশোধের পরেও ব্যাংকটি তার বিভিন্ন সেক্টরে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০২২ সালে, এটি প্রায় সকল সূচকেই সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করে এবং দেশের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

৬। গ্রামীণ ব্যাংক ওয়েবসাইট ?

গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলো https://grameenbank.org.bd। এই ওয়েবসাইটটি ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা, কার্যক্রম এবং সংস্থার সম্পর্কিত সব তথ্য প্রদান করে। গ্রামীণ ব্যাংক, যা মূলত দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে, এর মাধ্যমে গ্রাহকরা ব্যাংকিং সেবাসমূহ অনলাইনে পেতে পারেন।

৭। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হয় ?

গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সাধারণত বেশ ব্যাপক এবং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় সাধারণত চাকরির জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিভাগের প্রশ্ন থাকে।

প্রথমত, গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকে। এখানে মূলত গ্রামার, লেখন, শব্দার্থ, পঠন দক্ষতা এবং অনুবাদ সম্পর্কিত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, গণিত ও অঙ্ক সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন থাকে যা প্রার্থীকে মৌলিক গণনা এবং সংখ্যা বোঝার ক্ষেত্রে পরীক্ষিত করে। এতে সাধারণত বেসিক অঙ্ক, শতাংশ, গড়, সমানুপাতিকতা, সময় ও দূরত্ব সংক্রান্ত প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত থাকে।

তৃতীয়ত, সাধারণ জ্ঞান ও বাংলাদেশ বিষয়ক প্রশ্নও থাকতে পারে। এতে দেশের ইতিহাস, ভূগোল, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রশ্ন হতে পারে।

এছাড়া, যুক্তি ও reasoning বিষয়ক কিছু প্রশ্নও থাকতে পারে, যেখানে প্রার্থীদের চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়।

সবশেষে, গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় কম্পিউটার ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রশ্নও আসতে পারে, যেখানে প্রার্থীদের কম্পিউটার ব্যবহার এবং বিভিন্ন সফটওয়্যারের বেসিক জ্ঞান যাচাই করা হয়।

পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এসব বিষয় ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, যাতে প্রার্থীরা পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারেন।

৮। গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক কে?

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি দরিদ্র মানুষের জন্য ছোট ঋণ বা ক্ষুদ্রঋণ (মাইক্রোক্রেডিট) প্রদানের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই উদ্যোগটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০০৬ সালে, গ্রামীণ ব্যাংক এবং মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন, যা তাদের কার্যক্রমের বৈশ্বিক স্বীকৃতি হিসেবে পরিগণিত হয়।

৯। গ্রামীণ ব্যাংকের বেতন কত?

গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরির বেতন এবং প্রশিক্ষণের তথ্য নিম্নরূপ:

গ্রামীণ ব্যাংকের বেতন স্কেল হল ৯,৭০০ টাকা থেকে ২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ অফিসারদের প্রথম এক বছর (যেখানে দুটি পর্ব থাকে) প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।

  • প্রথম পর্ব: প্রশিক্ষণের প্রথম পর্বে মাসিক ১৩,০০০ টাকা (স্থিরকৃত) হারে ভাতা দেওয়া হয়।
  • দ্বিতীয় পর্ব: প্রথম পর্বের সফল সমাপ্তির পর দ্বিতীয় পর্বে প্রশিক্ষণ ভাতা ১৫,০০০ টাকা (স্থিরকৃত) করা হয়।

এছাড়া, প্রশিক্ষণ পরবর্তী সময় চাকরি শুরু হলে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন স্কেলে কর্মীরা কাজ করবেন।

১০। গ্রামীণ ব্যাংকের সুদ হার কত?

গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার ঋণের ধরণ, পরিমাণ ও মেয়াদ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। ব্যাংকটি বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে, এবং প্রতিটি ঋণের জন্য আলাদা সুদের হার নির্ধারিত থাকে।

নিচে গ্রামীণ ব্যাংকের কিছু সাধারণ ঋণের সুদের হার দেওয়া হলো:

  • ক্ষুদ্রঋণ:
    • নিয়মিত ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুদের হার: ১০% (ফ্ল্যাট হার)
    • অনিয়মিত ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুদের হার: ২০%
  • উচ্চশিক্ষা ঋণ:
    • পড়াশোনার সময়: সুদমুক্ত
    • পড়াশোনা শেষের পর: ১০%
  • জীবিকা ঋণ:
    • কৃষি ঋণ: ৮%
    • অন্যান্য ঋণ: ১০%

এছাড়া, ব্যাংকের অন্যান্য ঋণের জন্য সুদের হার নির্দিষ্ট শর্তাবলীর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।

Leave a Comment